লালপুর যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে না এসেই পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট। কেউ কেউ প্রশিক্ষণ নিতে আসলেও পড়ে নানা ভোগান্তিতে। প্রশিক্ষণার্থীদের খাওয়া-দাওয়াসহ যে সকল সুযোগ সুবিধা সরকারিভাবে থাকে তা সঠিকভাবে দেওয়া হয়না তাদের। বিশেষ করে খাওয়া দাওয়ার কষ্টটাই বেশি। আবার প্রশিক্ষণ না নিয়েই সার্টিফিকেট পাওয়া যায় বলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আসেনা। শিক্ষার্থী আসলেও আসেন না প্রশিক্ষকরা। তারা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো আসেন।
সম্প্রতি বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষনার্থী ও এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদক লালপুর যুব প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে সেখানে বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একজন প্রশিক্ষকও সেখানে নেই। প্রশিক্ষকদের চেয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ রুমে চেয়ার ফাঁকা পড়ে আছে একটি শিক্ষার্থীও নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের তিন বেলা খাবার দেওয়ার কথা। কিন্তু এক বেলার খাবারই তিন বেলা খেতে দেয়। আবার বেশির ভাগ সময়ই পঁচা-বাসি খাবার খেতে দেয়। যা খেয়ে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই আমরা আবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থাকি না।
এ বিষয়ে প্রধান বাবুর্চি সালাহউদ্দিন বলেন, প্রতিদিন তিন বেলা ৬০ জন শিক্ষার্থীর রান্না করার নিয়ম। কিন্তু গড়ে মোটের উপর ১৫-২০জন শিক্ষার্থীর রান্না করা হয়। বাকি শিক্ষার্থীদের বাজেটের টাকা কি হয় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বাকি খাবার সরকারিভাবে ফেরত দেওয়ার কথা। তবে সে বাজেটগুলো কি হয় আমার জানা নেই।
তিনি আরো বলেন, চলতি প্রশিক্ষণের আগের প্রশিক্ষণে তো একটা শিক্ষার্থীও ছিলো না। প্রশিক্ষণ না নিয়েই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষকদের রুমে গিয়ে দেখা যায়, সিনিয়র প্রশিক্ষক (পশুপালন) কামরুজ্জামান, সিনিয়র প্রশিক্ষক( পশুপালন) রাজু আহম্মেদ, সিনিয়র প্রশিক্ষক কৃষি(ডায়নিং কর্মকর্তা) মেহেদুল ইসলাম নেই।
এ বিষয়ে ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর শফিকুল ইসলাম বলেন, সিনিয়র প্রশিক্ষকরা আমাকে কিছু না বলেই এসে চলে গেছে। শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে নেই। এগুলো দেখানো সম্ভব নয়। এছাড়াও একজন শিক্ষার্থীও নেই কেন প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। প্রশিক্ষনার্থীরা না আসলে তাদের খাবারের টাকা কি হয় এমন প্রশ্ন করলেও তিনি চুপ থাকেন। তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে বলতে পারব না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার