হবিগঞ্জের বাহুবলের হাওর থেকে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার রউয়াইল গ্রামের হাওর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর এলাকার মৃত আকল মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়া।
এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত কাউছার শহরের শায়েস্তানগর মাছ বাজারে শ্রমিকের কাজ করতেন।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ৪ বছর আগে কাউছার মিয়া সদর উপজেলার টঙ্গিরঘাট গ্রামের মকসুদ আলীর মেয়ে সুখবানুকে ভালবেসে বিয়ে করেন। সম্প্রতি সুখবানু বাবার বাড়িতে বেড়াতে চলে যান। স্ত্রীকে দেখার জন্য গত সোমবার রাতে কাউছার মিয়া শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে সুখবানু দেখেন তার স্বামী ঘরে নেই।
সুখবানুর বাবা মকসুদ আলী তাকে জানান, তোর স্বামী রাতে গাছের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। আমরা নিজেরা বাঁচার জন্য তার লাশ ঘুম করে ফেলেছি। কাউকে বিষয়টি না জানাতে বলেন তিনি।
কিন্তু ঘটনার ৪ দিন পর পৌর কাউন্সিলরের নিকট গিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সামনে গোমড় ফাঁস করে দেন সুখবানু। তিনি বিষয়টি থানায় অবহিত করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাওর থেকে কাউছারের শ্বশুর মকসুদ আলী ও শাশুড়ি খয়রুনেচ্ছা বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসবাদ করে। পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাহুবলের রউয়াইল হাওর থেকে কাউছারের দেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করা লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার