পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় লঞ্চঘাট যেন মরণফাঁদ। পন্টুন থাকলেও নেই বেইলি ব্রিজ। ফলে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌর শহরের একমাত্র এই লঞ্চঘাটটি দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় পরে থাকলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। লঞ্চ পন্টুনে ভিড়লেও পন্টুনের সাথে ব্রিজের কোন সংযোগ না থাকায় যাত্রীদের পার হওয়ার জন্য বিপাকে পড়তে হয়। মাঝে মাঝে ঘটে দুর্ঘটনা।
পাশে পড়ে থাকা পুরনো পন্টুনের উপর কাঠের একটি তক্তা দিয়ে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত পারাপারসহ শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে পণ্য পরিবহন করে থাকে। এছাড়া ঘাটটির আশেপাশে ময়লা অর্বজনা ফেলা হচ্ছে। জোয়ারের সময় এসব আবর্জনা পানিতে ভাসে। আর ভাটার সময় আটকে থাকে। ওইসব ময়লার ভাগারের দুর্গন্ধে আশেপাশের পরিবেশ হয়ে উঠেছে বিষাক্ত।
লঞ্চঘাটকেন্দ্রিক পণ্য পরিবহনকারী শ্রমিক সোবাহান জানান, দীর্ঘদিন পণ্টুনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে থাকার পর নতুন পন্টুন স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু বেইলি ব্রিজটির সংস্কার করা হয়নি। এতে করে প্রতিদিন কমবেশি যাত্রী আহত হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ থেকে পণ্য খালস করতে হয়। মাত্র ক’দিন আগে জাকির নামের এক শ্রমিক আহত হয়ে মরণের হাত থেকে ফিরে এসেছে। ভারি মালামাল শ্রমিকরা মাথায় করে বহন করে। ফলে সব সময় আতংকে থাকতে হয়। কখন না জানি দুর্ঘটনা ঘটে!
কলাপাড়া এক্সপ্রেস কার্গো সার্ভিসের সত্বাধিকারী সাইদুর রহমান জানান, তাদের কার্গো সার্ভিসের মাধ্যমে দখিনের বাণিজ্যিক কেন্দ্র কলাপাড়ার সর্বাধিক মালামাল পরিবহন হয়ে থাকে। কার্গো যখন ঘাটে আসে তখন দিনরাত কাজ করতে হয় শ্রমিকদের। দিনে সতর্ক হয়ে শ্রমিকরা কাজ করলেও রাতে চরম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়।
ঘাটের ইজরাদার শামীম জানান, লঞ্চ-কার্গো ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নৌযান লঞ্চঘাটে নোঙর করে। সবাই ঝুঁকি নিয়ে ওঠা নামা করছে। বেইলি ব্রিজটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
পটুয়াখালী অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত বেইলি ব্রিজের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল