নগরীর সিআরবি, ডিসি হিলসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে বেড়ায় তারা। ঘুরে ফিরে দামি মোবাইল সেটের মালিকদের টার্গেট করে। টার্গেটকে তাদের ভাষায় ‘মুরগি’ ডাকা হয়। মুরগী পেলেই বিভিন্ন কায়দায় ছিনিয়ে নেয় দামি মোবাইল ও মূল্যবান জিনিসপত্র। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে কথিত ‘মুরগী জবাই’ করে আসছিল এ চক্রটি।
অবশেষে ‘মুরগী জবাইকারী’ ছিনতাই চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মাহমুদুর রহমান মাহিম, সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, মেহেদী হাসান রবিন, আহাদুল ইসলাম রায়হান, ইউসুফ, গোলাম হাসান, ইয়ামিন হোসেন এবং হাবিবুর রহমান হৃদয়।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘এ চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে আসছে। তারা বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে আসা দর্শনার্থীদের টাগের্ট করে মোবাইল ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিত। মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে এ চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দুই শতাধিক ছিনতাই করেছে।’
জানা যায়, এ চক্রের সদস্যরা নগরীর সিআরবি, ডিসি হিলসহ যে সব জায়গায় দিনের বেলা স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েরা ঘোরাফেরা করতে আসে সে সব এলাকায় অবস্থান নেয়। কারো হাতে দামি স্মার্ট ফোন দেখলে তাকে টার্গেট করে। টার্গেটকে তারা মুরগী নামে ডাকে। টার্গেটের পিছু নেয় তিন সদস্য। বাকিরা আশেপাশেই অবস্থান নেয়। সুবিধাজনক জায়গায় গিয়ে চক্রের একজন সদস্য টার্গেটের কাছে গিয়ে বলে ‘তুমি মোবাইল দিয়ে আমার বড় ভাই অথবা বোনের ছবি তুলেছ, মোবাইলটা দাও’ বলেই দ্রুত মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। পাশে থাকা দুই টার্গেট ধমক দেয় এবং মারধরের চেষ্টা ও ভয়ভীতি দেখায়। এর পরও যদি টার্গেট কোন প্রকার বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করে তখন আশ পাশে থাকে চক্রের অন্য সদস্যরা জটলা পাকিয়ে গ্রুপের সদস্যদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়। এভাবেই তারা দুই শতাধিক ছিনতাই করেছে নগরীতে।
বিডি প্রতিদিন/২ অক্টোবর ২০১৮/হিমেল