কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ ১০ জলদস্যুকে আটক করেছে র্যাব। জেলেদের সহায়তায় সোমবার সকালে তাদের আটক করা হয়। এসময় দস্যুদের কাছে থাকা ৬টি দেশীয় একনলা বন্দুক এবং ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব।
জলদস্যুদের কবল থেকে দুইটি ফিশিং বোটের ২৮ জন জেলেকে উদ্ধার করে র্যাব। তাদের মধ্যে তিন জেলে গুরুতর আহত হয়েছেন।
এদিকে, জলদস্যুকে আটকের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়াস্থ ৬নং ঘাটে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। জলদস্যুদের কবলে পড়া ট্রলার মালিকসহ জেলেরা অপেক্ষা করতে থাকে।
জলদস্যুদের ছোড়া গুলিতে আহত জেলে আব্দুল মজিদ জানান, তিনি সেলিম বহদ্দারের মালিকানাধীন এফবি রমজান নামক ট্রলারে কাজ করেন। তাদের ট্রলারে মাঝি-মাল্লা রয়েছে ১৩ জন। ওই ১৩ জন গত ৪ অক্টোবর (রবিবার) রাত ১১টার দিকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়।
পরে সেখানে একদল ডাকাত তাদের বোট ঘেরাও করে। এরপর বোটের পাটাতনে উঠে অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে ফেলে। বেশ কিছুক্ষণ জেলেদের মারধরও করে তারা। একপর্যায়ে ট্রলারে থাকা জাল জেলেদের শরীরে মুড়িয়ে নৌকার কোল্ড স্টোরেজে ঢুকতে বাধ্য করে।
আব্দুল মজিদ এতে রাজি না হওয়ায় তার হাতে গুলি করে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বাধ্য করার চেষ্টা করে। এসময় তাকে বেদম প্রহারও করা হয়।
আব্দুল মজিদ আরও জানান, ডাকাতের দল যে কোন মুহূর্তে আক্রমণ করতে পারে। এ কারণে ট্রলারে থাকা কাঁথার মধ্যে একটি মোবাইল লুকিয়ে রেখেছিল সে। ডাকাতের আক্রমণের পরই ওই মোবাইলে ট্রলার মালিককে সংবাদ দেয় জেলেরা। পরবর্তীকালে ট্রলার মালিকরা র্যাবের সাথে যোগাযোগ করে। পরে র্যাব অভিযান চালায়।
কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল বলেন, সাগরের যে অংশ থেকে জলদস্যুদের আটক করেছে র্যাব। সেই অংশে নিয়মিত ডাকাতি হয়। এজন্য সাগরের ওই অংশে র্যাব এবং কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/০৫ নভেম্বর ২০১৮/আরাফাত