গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানায় এক আসামি থানা হাজতে নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।আজ রবিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মশিউর রহমান (৩৮) ঝিনাইদহের সদরের হলিধানি গ্রামের আবদুল খালেক মিয়ার ছেলে। সে নবজাতক চুরির একটি মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে ছিল। শনিবার রাতেই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনা তদন্তে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ডিসি (ক্রাইম ও প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ শরিফুর রহমানকে। কমিটিকে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে দিতে বলা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সমীর চন্দ্র সূত্রধর জানান, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি করে নেয়ার অভিযোগে গত ১৪ নভেম্বর হাসপাতালের সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাসসহ মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামান নামে দুই জনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে জনতা। এ ঘটনায় নবজাতকের নানা মো. হেলাল মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে গত ২১ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের থানায় আনেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আতিকুল ইসলাম।
শনিবার রাত ১০টার দিকে থানা হাজতে থাকা মশিউর দিয়াশলাই দিয়ে নিজের শরীরের সোয়েটারে আগুন ধরিয়ে দেয়। অপর আসামি আসাদুজ্জামানের ডাকচিৎকারে ডিউটিরত পুলিশ ছুটে গিয়ে মশিউরকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আতিকুল ইসলাম আতিক জানান, পলাতক আসামিদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য মশিউর ও আসাদুজ্জামানকে রিমান্ডে আনা হয়েছিল। আসাদুজ্জামান চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মশিউর শরীরে থাকা সোয়েটারে আগুন দেয়। সোয়েটারের আগুন দ্রুত গলা ও বুকে লেগে পুড়ে তার মৃত্যু হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার