শুধুমাত্র হাতের একটি বেসলেট নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকার হোসিয়ারী শ্রমিক সিয়ামকে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃত বন্ধু নিলয়। আর এ কিলিং মিশনে ছিল ৫ জনের একটি দল।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালতে ১৬৪ ধারায় নিলয়ের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়। এতে সিয়াম হত্যার দায় স্বীকার করে তার ৫ বন্ধুর নাম প্রকাশ করে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের এস আই শহীদুল ইসলামের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
স্বীকারোক্তি দেওয়া নিলয় শহরের ২নং বাবুরাইল এলাকার কালামের ছেলে। ২৮ জানুয়ারি সকালে সিয়ামের লাশ উদ্ধারের পর এদিন দুপুরেই নিলয়কে গ্রেফতার করা হয়। সেদিন সিয়ামের বাবা সোহেল মিয়া বাদি হয়ে নিলয়কে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরো ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
আদালতে নিলয় জানান, সিয়াম ও নিলয় একটি হোসিয়ারী কারখানাতে কাজ করত। পরে তাদের বন্ধুত্ব হয়। সে সুবাদে সিয়ামের কাছ থেকে বেসলেট নেয় নিলয়। পরে সেটি ফেরত না দেয়ায় তাকে মারধর করে সিয়াম ও তার বন্ধুরা। এ ক্ষোভে নিলয় পরিকল্পনা করে সিয়ামকে হত্যা করা জন্য। সে পরিকল্পনায় নিলয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয় আরো ৫ বন্ধুর। তারা সবাই মিলে কাজ থেকে বাসায় যাওয়ার সময় সিয়ামকে তুলে নিয়ে মারধর করে। পরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ডিআইটি কলোনীর সামনে ফেলে যায়।
সিয়াম ফতুল্লার দেওভোগ লিচুবাগান এলাকার মসজিদ গলিতে অবস্থিত হামিদার বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল মিয়ার ছেলে। সে শহরের উকিলপাড়া এলাকায় অবস্থিত আজিজুর রহমানের হোসিয়ারীর শ্রমিক।
এদিকে সিয়াম হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নিহত সিয়ামের স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে তারা শহরের চাষাঢ়াস্থ নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার