কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহুলবাড়িয়া গ্রামে হারবাল ওষুধ পান করে এক শিশুসহ ২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরও একজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের পরিবার ও হাসপাতাল সুত্র জানিয়েছে, বহুলবাড়িয়া গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক নবাব কয়েক মাস আগে স্থাণীয় বাজার থেকে একটি হারবাল সিরাপ কেনে। ওষুধটি খাওয়ার পর থেকেই শরীরে নানা পার্শ্বপক্রিয়া দেখা দেয়। রবিবার রাতে নবাব ও তার ৯ বছরের মেয়ে শামীমা হারবাল এ সিরাপটি পান করে। তাদের দেখাদেখি পাশের বাড়ির নুর মহাম্মদ (৫০) সিরাপ পান করে। ২০মিনিটের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনজন। এর মধ্যে বাড়িতেই মারা যান নুর মহাম্মদ ও শামীমা।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নবাবকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছে। এ ঘটনার পর ময়না তদন্তের জন্য নুর মহাম্মদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
ইটভাটার শ্রমিক নবাব জানান, কয়েকমাস আগে ওষুধটি কিনেছিলাম। বৃহস্পতিবার রাতে এক সাথে তিনজন পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ি।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা, তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘রাতে হারবাল ওষুধ পান করে নুর মহাম্মদ একজনকে নিয়ে আসা হয়। তবে হাসপাতালে আসার আগেই তিনি মারা যান। এছাড়া একটি শিশু মারা গেছে। বিষয়টি ক্যামিকেল পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে হারবাল ওষুধ পান করে বিষক্রিয়ায় দুইজন মারা গেছে। একজন অসুস্থ। হারবালের ওষুধ ও প্যাকেট জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর