হালিমার মা খাদিজা বেগম তার দেবর (শিশুটির চাচা) হেলাল মিয়ার অনৈতিক প্রস্তাবের প্রতিবাদের প্রতিশোধ নিতেই শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসামি হেলাল মিয়া ও তার সহযোগী রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর শিশু হালিমা হত্যাকাণ্ডের ‘রহস্য’ সাংবাদিকদের কাছে এভাবেই তুলে ধরেছে পুলিশ।
আজ সকাল সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, শহরের ভাদুঘর এলাকা থেকে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজমিস্ত্রি আমির হোসেনের ৩ বছরের মেয়ে হালিমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে হালিমার চাচা হেলাল মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে হেলাল জানান, হালিমার মা খাদিজাকে কিছু দিন আগে অনৈতিক প্রস্তাব দেন তিনি। এতে রাজি না হওয়ায় এবং পারিবারিক কলহের জের ধরে এক মাস আগে তিনি ভাতিজি হালিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি কৌশলে হালিমাকে চিপস দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে সহযোগী রুবেলের সহায়তায় শিশুটিকে হত্যা করে দু’টি বহুতল ভবনের মাঝখানে ফেলে আসেন। পরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। আজ সকালে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার