বরগুনার বেতাগীতে মধ্যে বিবিচিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবনের অভাবে পাঠদানে হিমশিম খাচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে মধ্য বিবিচিনি গ্রামে বিদ্যালয়টির অবস্থান। ১৯৮৮ সালে স্থানীয় বাসিন্দা হাতেম আলীর দান করা ১৫ শতাংশ জমিতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করা হলেও টিনশেডের ঘরে বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে। ভবন নির্মাণ বারবার প্রস্তাব গেলেও তা পিছিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবন না থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, এমনকি নিরাপত্তার অভাবে বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণাদি এবং দলিলপত্র শিক্ষকের বাড়িতে সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। ফলে যে কোন সময় তা হারানো ও বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শীতে ঠাণ্ডা বাতাস, বর্ষা মৌসুমে মেঝেতে পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় প্রচণ্ড গরমে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে। আর শৌচাগার সংকটে প্রকৃতির ডাক আসলেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিকটবর্তী বাড়িতে দৌড়াতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ৪২ জন ছাত্র ও ৫০ জন ছাত্রী এবং ৪ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অর্নব ঘোষ বলেন, ভবনের জন্য শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ভবন নির্মাণে প্রকৌশল অধিদফতর থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেও কেন ভবন হচ্ছে না তা জানি না। সহকারি শিক্ষিকা মোসা: হনুফা বলেন, অথচ আমাদের শিশুরা ভাল ফলাফল উপহার দিচ্ছে। এবারে পিএসসিতে শতভাগ পাশ করেছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমন কাজী ও একই শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসা: লামিয়া আক্তার দাবি করেন, শীঘ্রই ভবন দেওয়া হোক। ভবন না থাকায় তাদের বাথরুমের কাজ সারতে বাড়ি বাড়ি যেতে হয়।
ভবনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, কর্তৃপক্ষের নিকট ভবন নির্মাণে একাধিকবার তালিকা পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজীব আহসান বলেন, বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের নিকট পত্র দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা