বাগেরহাটে মঙ্গলবার সকালে আকষ্মিক কাল-বৈশাখী ঝড়ে সদরসহ ৫টি উপজেলায় দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘর ও গাছ চাপায় বাগেরহাট সদরের খানপুরে আহত হয়েছেন ৮ জন। আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন উপকূলে ঝড়ের কবলে পড়ে দুটি ট্রলারসহ মোংলার পশুর নদীর বিদ্যারবাহন খেয়াঘাট এলাকায় ডুবে গেছে একটি ড্রেজার। বাগেরহাট সদর, কচুয়া, ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা শত-শত গাছপাল ভেঙ্গে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুটি উপড়ে ও তার ছিড়ে পড়ায় চারটি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কাল-বৈশাখী ঝড় ও দিনভর বৃষ্টিতে সুন্দরবনের দুবলার শুঁটকি পল্লীর প্রায় অর্ধকোটি টাকা মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। শতাধিক জেলেঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
ঝড়ে আহতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খানপুর গ্রামের
শেখ জাকির হোসেন (৫২), মাদরাসা ছাত্র ফরিদ হোসেন (১৩), মা সাফিয়া বেগম (২৪) মেয়ে রাফমিন (৪), ময়না (১৫), লাকি বেগম (৩২), হাবিব (৪৮) ও আফরিনা (৩৫)।
সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হচ্ছে, বাগেরহাট পৌরসভার হাড়িখালি, সদর উপজেলার খানপুর, ষাটগম্বুজ, কাড়াপাড়া, ডেমা, বেমরতা ও রাখালগাছি ইউনিয়ন।
খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দীন বলেন, প্রবল বর্ষণ ও শিলা বৃষ্টির সাথে কাল বৈশাখী ঝড়ে দক্ষিণ ও উত্তর খানপুর গ্রামের অন্তত ৫০ কাঁচাপাকা বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘর ও গাছ চাপা পড়ে শিশু নারীসহ ৮ জন হয়েছেন। তাদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝড়ে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার সকালে কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার বিভিন্ন বিভিন্ন উপজেলায় ২ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়িসহ শত-শত গাছপালা পড়ে গেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন