২৫ বছর বয়সী যুবক শাহাদতের ছিল একটি গোছানো সংসার। স্ত্রী-সন্তান আর মা ও পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ সুখেই কাটছিল তার দিন। ৮ মাস আগে গরম চুন চোখে পড়ে তার বাম চোখটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। কিছুদিন পর শার্টের বোতাম লেগে ডান চোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেই থেকে অন্যের সাহায্যে চলাফেরা করেন তিনি।
এক সময়য়ের ভালো রং মিস্ত্রী শাহাদৎ এখন প্রায় অন্ধ। দু’চোখের কোনটাই তিনি দেখতে পারেন না। অর্থাভাবে অন্ধ হতে চলেছেন তিনি। শাহাদৎ হোসেন ঝিনাইদহ শহরের হামদহ ৩ নং পানির ট্যাংকি পাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে।
শাহাদৎ জানান, ৮ মাস ধরে তিনি কাজ করেন না। চিকিৎসা তো দূরের কথা, পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। এ অবস্থায় স্ত্রী শাপলা খাতুন পরের বাড়ি কাজ করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ৯ বছর বয়সী ভাতিজা আবিরের কাঁধে হাত রেখে শাহাদৎ আসেন ঝিনাইদহ শহরে। চিকিৎসা নিয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, টাকার অভাবে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেননি। তাই খুলনা আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হন। চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভারতের চেন্নাই যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু টাকার অভাবে যেতে পারছেন না।
রেটিনা সংযোজন না করতে পারলে ২৫ বছর বয়সেই সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যাবেন শাহাদৎ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার