নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু রেল-সংযোগ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত ও সুবিধা বঞ্চিত ব্যক্তিদের মাঝে আর্থিক সহযোগিতামূলক পুনর্বাসন সুবিধার চেক প্রদানের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা ডর্প ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্থানীয় রাজ রানী কমিউনিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
এ সময় রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন স্থানীয় ১০ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির মাঝে পুনর্বাসন সুবিধার চেক প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে রেল ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে বেকার করেছিল। পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্তি করা ছাড়া বিএনপি-জামায়াত আর কিছুই করে যেতে পারেনি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগর উদ্দ্যাগ গ্রহণ করা হয়েছে। পদ্মাসেতু বাস্তাবায়ন হলে দেশের জিডিপিতে ২ শতাংশ ও রেল পরিকল্পনা বাস্তাবায়নের মাধ্যমে ১ শতাংশ যুক্ত হবে। এর মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ২০ কিংবা ৪০ সাল নয়, ডেলটা পরিকল্পনার মাধ্যমে এক'শ বছর পরের বাংলাদেশকে আমরা কোন পর্যায় দেখতে চাই তার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ এ কে এম সারওয়ার জাহান বাদশা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম।
প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিএসসি’র প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ, র্ডপ এর প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান, ক্ষতিগ্রস্ত মো. নেয়ামতউল্লাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিএসসির তত্ত্বাবধানে ডর্প পিবিআরএলপি পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ঢাকা হতে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রথম ধাপের প্রকল্পে ৮২.৩৫ কিলোমিটার রেলপথে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫৪৮ পরিবার রয়েছে। প্রকল্পটিতে ৩৫৮.৪১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তরা ১৯৮২ সালে ভূমি অধিগ্রহণ আইনের আওতায় ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসক থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন অনেকেই।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন