জিয়াউর রহমান ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধকে কলংকিত করেছে। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। তিনি যতই চেষ্টা করুন না কেনো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলা যাবেনা।
মুজিবনগরে দিবস উদযাপন উপলক্ষে মুজিবনগরে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এসব কথা বলেন।
এর আগে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বুধবার ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসক আতাউল গনি মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। এরপর সকাল ৯ টায় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন অনুষ্টানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনসহ মন্ত্রীবর্গ ও কেন্দ্রী নেতৃবৃন্দ। ১০ টায় গীতি নাট্য “বদলে যাও, বদলে দাও” অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ১০ টায় শেখ হাছিনা মে শুরু হয় আলোচনাসভা। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য আমির হোসেন আমু। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল, খুলনা বিভাগিয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহীদুজ্জামান খোকনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি আমির হোসেন আমু তার বক্তব্যে বলেন, আজ যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসতো তবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে মডেল দেশ হিসেবে রুপ লাভ করতো না। বিশ্ব আজ জানতে চায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কিভাবে বাংলাদেশকে এত উন্নতর শিখরে আসতে সক্ষম হলো। প্রতিবন্ধি ভাতা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা দিয়ে গ্রামীন অর্থনীতিকে একদিকে চাঙ্গা এবং গ্রামের আসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বাদ গ্রামের মানুষকে পৌঁছে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে গ্রাম ভিত্তিক উন্নয়নের ধারার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। আর এ উন্নয়নের ধারায় বাংলাদেশ যতই এগিয়ে যাবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ততই ষড়যন্ত্র হবে। আগে এদেশের বাজেট হতো আইএম এফ, ওয়াল্ড ব্যাকের টাকায়। শেখ হাসিনার সরকার সেই ওয়াল্ড ব্যাংকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়েছে। আজকে পদ্মা সেতু হচ্ছে, পায়রা বন্দর হচ্ছে, আরও আনেক প্রজেক্ট হচ্ছে। সেই প্রজেক্ট গুলো বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলঅদেশ ২০১৪ এর অনৈক আগেয় উন্নত দেশে পরিণত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর