পঞ্চগড় সদর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে আসামিদের দেয়া হুমকিতে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে মামলার বাদীকে। শহরের মসজিদ পাড়া এলাকার বাড়িটিতে তালা দিয়ে নিরাপত্তার জন্য গা ঢাকা দিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ওই নারী।
গত ১৭ মে ওই নারী তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার অপরাধে মিঠাপুকুর এলাকার আকবর আলীর ছেলে ফজলুল হক সাগর (৩০) এবং ডোকোরো পাড়া এলাকার আমিনার রহমানের ছেলে জাফরুল ইসলাম অন্তরকে (১৬) অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওইদিনই আসামি দুজনকে আটক করে।
সোমবার বিকেলে ওই নারী মুঠোফোনে জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে বর্তমানে বাড়িতে থাকতে পারছিনা। আসামিরা বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে মিমাংসা করতে বলছে। অথবা পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা বিচার চাই। আপনারাও এই সংবাদ লিখিয়েন না। লিখে কি হবে? বর্তমানে কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না। আমরা মামলায় যা উল্লেখ করতে চেয়েছিলাম এখন মামলার এজাহারে কিছুই দেখছি না। মামলাটা ইচ্ছা করে হালকা করে দেয়া হয়েছে। ওই মামলার প্রধান আসামি ফজলুল হক সাগর (৩০) গণপূর্ত বিভাগে প্রহরী পদে সরকারি চাকরি করে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাহী কমিটিতে জেলা প্রশাসক মনোনীত সদস্য। রাহাত সাউন্ড নামে তার একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিবুল ইসলাম জানান, ফজলু এই অফিসে প্রহরীর চাকরি করতো। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ফজলুল হক সাগর শিল্পকলার নির্বাহী কমিটির সদস্য। তার বিরুদ্ধে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার