দীর্ঘদিন পরে মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এডভোকেট জাফর আলী মিয়াকে আহবায়ক এবং জাহান্দার আলী জাহানকে সদস্য সচিব করে ৪২ সদস্যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে সোহরার হোসেন হাওলাদার, সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী, মামুন অর রশিদ বাবুল, এডভোকেট জামিনুর হোসেন মিঠু ও মিজানুর রহমান মুরাদকে।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে জেলা বিএনপির কাউন্সিল হয়। এর তিন বছর পরে ২০১২ সালে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। দীর্ঘ ৬ বছর পরে শনিবার (২২ জুন) রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মাদারীপুর জেলা বিএনপির ৪২ সদস্যের কমিটি স্বাক্ষর করেন।
এদিকে এই কমিটি ঘোষণার পরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে। দলীয় নেতা-কর্মীরা দাবি করেছেন কমিটিতে অনেক অপরিচিত মুখ রয়েছে যারা জেলা বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত নন। এছাড়াও কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে সিনিয়র জুনিয়র মানা হয়নি। অনেক সিনিয়র নেতাকে পদ দেয়া হয়েছে জুনিয়র নেতার পরে। মাঠের অনেক নেতাই বাদ পড়েছে ঘোষিত কমিটিতে। কমিটির এক নম্বর যুগ্ম আহবায়ক সোহরাব হোসেন হাওলাদার ছিলেন যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। পরে তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হন। সেই কমিটিতেই সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এডভোকেট জাফর আলী মিয়া। একই সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান যখন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তখন জাফর আলী মিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেই জাফর আলী মিয়াকে করা হয়েছে জেলা বিএনপির আহবায়ক। এতে করে কিছু নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জামিনুর হোসেন মিঠু বলেন, ‘কিছু নেতাকে পদ দেয়া হয়েছে যারা জেলার রাজনীতিতে অপরিচিত। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে যাদের উপস্থিতি নেই তারাও পদ পেয়েছে।’
আহবায়ক কমিটির সদস্য মিল্টন বৈদ্য বলেন, ‘অনেক ত্যাগী নেতারা বাদ পড়েছে। আবার অনেক নতুন লোক এসেছে যাদের দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ নেই। তবুও পজেটিভ দিক হচ্ছে অনেক বছর পরে মাদারীপুর জেলা বিএনপির কমিটি হয়েছে।’
যুগ্ম আহবায়ক সোহরাব হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘কমিটিতে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। সিনিয়র জুনিয়র মেনে কমিটি করা হয়নি। তবুও দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার