ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শরীফা বেগম (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শরীফা জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকূট ইউনিয়নের বিদ্যাকূট গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে। সে চলতি বছর মোহাম্মদপুর কলেজ থেকে মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়। জানা যায়, পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় একটি মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতো শরীফা। ওই মেয়েটি সম্প্রতি অন্য জায়গায় চলে যাওয়ায় সে একা থাকতো।
নিহতের বড় বোন সোনিয়া জানান, ''মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে অজ্ঞাত একটি ফোনে জানানো হয় তোর বোন ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছে। খবর নে।''
নিহত শরীফা বেগমের সাথে তার মায়ের মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইলে সর্বশেষ কথা হয়।
সোনিয়া দাবি করেন, গ্রামের বখাটে হোসাইন দীর্ঘ দিন ধরে আমার বোনকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। সে রাজি ছিল না। তাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছিল।
নিহতের বাবা মজিবুর রহমান জানান, আমরা তার কক্ষে এসে দেখি পুলিশ মরদেহ নামাচ্ছে। এসময় তার পা ঘরের ফ্লোরে লাগানো অবস্থায় রয়েছে। তার ব্যবহৃত ওড়না ছিল গলার এক পাশে জড়ানো। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। ঘরের বিভিন্ন স্থানে পোড়া সিগারেট রয়েছে। আমার মেয়ের ব্যাংকে চাকরি হবার কথা ছিল। তাই সে আগামী মাসে বাসা ছেড়ে দিবে বলে জানিয়েছিল।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, বাড়ির মালিকের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় শরীফা বেগমের লাশ উদ্ধার করে। তারা জানায়, সারাদিন কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে অনেক ডাকা ডাকি করলে কোন জবাব না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
সদর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটির ব্যবহৃত মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। রুমে সিগারেট পাওয়া গেছে। লাশের পা ফ্লোরে লাগানো ছিল। লাশের শরীরে গলার দাগ ছাড়া আর কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা