পটুয়াখালীর কলাপাড়া পয়রা বন্দর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া এমভি গলফ আরগো জাহাজের ১৪ নাবিককে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী সদস্যরা।
শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ সাঙ্গু তাদের উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত নাবিকরা হলেন, জাহাজের ক্যাপ্টেন কাজী আব্দুল্লাহ আল মুহিত (৩৫) নোয়াখালী, চীফ ইঞ্জিনিয়ার হাসান রেজা খালিদ (৩২) চট্টগ্রাম, চীফ অফিসার কাজী মাহমুব আলম (২৮) গোপালগঞ্চ, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার নূর আলম হিমেল (২৬) নারায়ণগঞ্জ, থার্ড মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন (২৪) নোয়াখালী, বোসনমেট রফিক উল্লাহ (৫৯) ফেনী, এ্যাবল সীম্যান মো. জুবায়ের হোসেন (২৪) চট্টগ্রাম, অর্ডিনারি সীম্যান সুজন মুখার্জী (২০) ফরিদপুর, অর্ডিনারি সীম্যান মো. সাহাবুদ্দিনসহ (২১) ভোলা, শাহদাত হোসেন (৩৭) লক্ষ্মীপুর, জমিরুল ইসলাম (৩০) চট্টগ্রাম, শহিদ মিয়া (২৩) রংপুর, মো. রাজু (২৫) চট্টগ্রাম এবং আব্দুর রশিদ (৫০)।
উদ্ধারকৃত নাবিকরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তারা বর্তমানে সমুদ্রে নৌবাহিনী জাহাজ সাঙ্গুতে অবস্থান করছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার প্রদান করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান শেষে জাহাজটি পায়রা বন্দরে ফেরার পর নাবিকদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সহকারী তথ্য অফিসার এস এম শামীম আলমের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নৌবাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে কন্টেইনারবাহী জাহাজ এমভি আরগো ১৫২ টি কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ভারতে যাবার পথে পায়রা ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে পৌঁছালে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এসময় বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তাণ্ডবে কন্টেইনারসহ জাহাজটি ডুবে যায়। পরে খবর পেয়ে গভীর সমুদ্রে টহলরত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ সাঙ্গু তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৪ জন নাবিককে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত নাবিকরা সবাই সুস্থ রয়েছে। তবে লাইটার জাহাজ এমভি গলফ আরগো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন