বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহারের ভ্যান চালক সমজান আলী সরদার ওরফে সুদ্দিকে (৬৫) হত্যার একমাস পর রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। মাদকের টাকার জন্য ভ্যান ছিনতাইকালে চিনে ফেলায় পরিকল্পিত ভাবে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনায় থানা পুলিশ তিন যুবককে আটক করলে হত্যার রহস্য বের হয়ে আসে। পুলিশ বলছে আটককৃতরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের ঝাঁঝিড়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দীন সরদারের ছেলে অটো ভ্যান চালক সমজান আলী সরদার ওরফে সুদ্দি (৬৫) গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় স্থানীয় তালুচ বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে একই এলাকার মজিবনগরে যায়। এরপর থেকে তার আর কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। পুলিশ গত ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার তার আংশিক পচন লাশটি স্থানীয় পাওগাছা কমিউনিটি সেন্টারের পিছনে ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ সংক্রান্তে তার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ঐ দিন রাতেই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, প্রায় এক মাস তদন্তকালে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার ভান্ডুরিয়া পূর্বপাড়ার জয়তুল্লাহ প্রামানিকের ছেলে বেলাল হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক ৩১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভান্ডুরিয়া পশ্চিমপাড়ার আনছের আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৮) এরপর ভান্ডুরিয়া পূর্বপাড়ার আব্দুল মালেক প্রামানিকের ছেলে বাহাদুর আলী ওরফে জাহাতুলকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা বগুড়া আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নিস্কৃতি হাগিদক ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তৌহিদুর জামানের কাছে জবানবন্দি প্রদান করেছে। আদালতে স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেছে মাদক সেবনের টাকা সংগ্রহের জন্য ভ্যান ছিনতাই করে চালক সমজান আলী সুদ্দিকে (৬৫) ভ্যানসহ তাকে একই এলাকার পরিত্যক্ত জমিদার বাড়িতে যায়। সেখানে পরিত্যক্ত একটি কক্ষে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভর্তি করে। পরে তারা ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ভ্যান বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগির পর পরের দিন বস্তা ভর্তি লাশটি স্থানীয় পাওগাছা কমিউনিটি সেন্টারের পিছনে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ