প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সাবেক এক ইউপি মেম্বার তার নিজের ঘরে আগুন দিয়েছেন। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই ইউপি সদস্যের ভাগিনাকে আটক করেছে পুলিশ। নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের দাসকান্দি গ্রামের সাবেক মেম্বার শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ২ অক্টোবর দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে গভীর রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ইউপি সদস্যের ভাগিনা আরিফুল ইসলামকে (১৮) আটক করে।
নবীনগর থানার এসআই মো. মনিরুল ইসলাম জানান, প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আরিফুলের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে শফিকুল মেম্বারের দুই ভাতিজা সোহেল ও ফাহিম ফুটবল খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিবেশী ধন মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়াকে (২৩) মারধর করে। পরে রাসেলের মা খোদেজা বেগম এ ব্যাপারে শফিকুল মেম্বারের কাছে নালিশ করতে গেলে সোহেল ও ফাহিমসহ ওই বাড়ির ৪/৫ জন যুবক তাকে ধাওয়া করে। তিনি তাড়া খেয়ে বাড়িতে ফিরে আসার কিছুক্ষণ পরেই মেম্বার বাড়ির নারী-পুরুষসহ ৭/৮ জন দা, লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে বাড়িতে ঢুকে রাসেলের উপর ফের হামলা চালায়। হামলাকারীরা রাসেলের মাথায় দা দিয়ে আঘাত করে। এসময় তার মাকেও মারধর করে। এরপর রাসেলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার চারদিন পর তিনি এ ঘটনায় শফিকুল মেম্বারসহ আটজনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পরদিন পুলিশ তাসলিমা বেগম নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠান। তিনি অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর ইউপি সদস্যের বাড়ির লোকেরা নিজেদের ঘরে আগুন লাগিয়ে তাদেরকে ঘায়েলের চেষ্টা করে। শফিকুল মেম্বার মামলাবাজ প্রকৃতির লোক বলে জানান এলাকার মানুষ। চার বছর আগে নিজের গরু মেরে খোদেজা বেগমদের বাড়ির চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দেন শফিকুল। পরে পুলিশের তদন্তে ঘটনাটি সাজানো বলে প্রমাণিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক