নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ মাছ ধরার দায়ে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া, জাজিরা ও গোসাইরহাট উপজেলায় ৪৬ জন জেলেকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার ও রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্ব স্ব উপজেলা চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের এ কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা মৎস্য অফিস, থানা ও নৌ পুলিশ। অভিযানের সময় জেলেদের আটক করা হয়। এ সময় এক লাখ ২০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৪০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। এছাড়া ১১জন জেলেকে জরিমানা করে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাব্বির আহমেদ জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে শনিবার বিকেলে ৬ জন জেলেকে আটক করা হয়। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রতিজনকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর রবিবার দুপুর পর্যন্ত ১৬ জনকে আটক করে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৪ জন জেলেকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ইলিশ মাছ কেনার দায়ে একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈরাগী জানান, ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর এই ২২ দিন পদ্মা ও মেঘনা নদীতে মাছ ধরা, ইলিশ মাছ মজুদ করা, বিক্রি করা, জাল ফেলা সম্পূর্ণ নিষেধ করেছে সরকার। তবুও কিছু অসাধু জেলে নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরছে। অভিযান পরিচালনা করে অসাধু জেলেদের আটক করা হচ্ছে। বুধবার থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৭৬জন জেলেকে কারাদন্ড ও ১২জন জেলেকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ৩ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৩৬০ কেজি ইলিশ মাছ ও ৪৩ টি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়। দন্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জব্দকৃত কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আর ইলিশ মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানা, মাদরাসা ও গরিবদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার