কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। এতে দুই বিজিবি সদস্যও আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা ইউপির জাদিমোড়া নাফনদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাদক কারবারি হলেন- হ্নীলা ইউপি জাদিমোড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে ইমাম হোসেন (২৫)।
টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়- জাদিমোড়া এলাকার দিকে নাফনদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান প্রবেশ করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে দমদমিয়া বিওপির একটি বিশেষ টহলদল অভিযানে যায়। এসময় একজনকে কেওড়া বাগানে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন লোককে নৌকা নিয়ে নাফনদী পার হয়ে আসতে দেখা যায়। নৌকাটি নদীর কিনারায় আসার সাথে সাথে ওই ব্যক্তি নৌকার দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করলে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই নৌকার আরোহীরা অতর্কিতভাবে গুলি ছোঁড়ে। এতে দুই বিজিবি সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ৭ থেকে ৮ মিনিট গোলাগুলি হয়। এ সময় গুলি করতে করতে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। গোলাগুলি থামার পর টহলদল ঘটনাস্থল তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশি তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। আহত দুই বিজিবি সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ভোররাতে বিজিবি তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।এর মধ্যে দুইজন বিজিবি সদস্য। অপরজন সাধারণ মানুষ। তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন ছিল।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
