দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ২৫ দিন ধরে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড অতিরিক্ত ফি আদায় করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় বন্দরে এই অচালবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, ২৫ দিন ধরে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন স্থলবন্দরে কাজ করা ৫ হাজার শ্রমিক। এতে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, হঠাৎ করেই গত ১২ নভেম্বর প্রতিট্রাক পাথরের জন্য ৭৮৩ টাকা ফি এর পরিবর্তে টন প্রতি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা হারে ট্যারিফ জমা দেয়ার আদেশ দেয় পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড। ফলে আমদানীকারকদের একটি ট্রাকে মোট ফি দিতে হবে সাড়ে ৭ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা। এর কারণেই পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এনিয়ে বন্দরের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, একবারে হঠাৎ করে ফি বৃদ্ধি না করে পর্যায়ক্রমে ফি বৃদ্ধি করা হলে ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে এবং সরকারেরও রাজস্ব আদায় হবে।
অন্যদিকে, সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ডেপুটি পোর্ট ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম জানান, দেশের ১৩টি স্থলবন্দরের মধ্যে ১২টি স্থলবন্দরে টন প্রতি ট্যারিফ আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু শুধুমাত্র সোনামসজিদ স্থলবন্দরেই ট্রাকপ্রতি ফি আদায় করা হয়ে থাকে। দেশের সকল স্থলবন্দর একই নিয়মে চালু করার জন্যই সরকারিভাবে টন প্রতি ট্যারিফ আদায়ের জন্য লিখিতভাবে চিঠি দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল জানান, সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে যোগাযোগ করে সমাধানের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪-১৫ সালে প্রতিদিন সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রায় সাড়ে ৩শ’ ট্রাক পণ্য বন্দরে প্রবেশ করতো। ৫/৬ মাস আগেও ১২০ থেকে ১৩০ ট্রাক পণ্য বন্দরে প্রবেশ করেছে। কিন্তু বর্তমানে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক পণ্য বন্দরে প্রবেশ করছে। ফলে বন্দরের শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে, স্তব্ধ হয়ে পড়েছে বন্দরের কার্যক্রম।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক