শিরোনাম
২ এপ্রিল, ২০২০ ১৬:২৫

বগুড়ায় আইসোলেশনে মৃত শিশুর লাশ পুলিশি পাহারায় দাফন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় আইসোলেশনে মৃত শিশুর 
লাশ পুলিশি পাহারায় দাফন

বগুড়ার সরকারি মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল করোনা আইসোলেশন কেন্দ্র মারা যাওয়া ছেলে শিশুটির (১৩) পুলিশি পাহারায় স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম মেনে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মারা যাওয়ার পর বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় গাবতলী উপজেলার দড়ি সোনাকানিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে শিশুটির লাশ দাফন করা হয়। শিশুর মৃত্যুর পর থেকেই আশেপাশের ৩টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। 

লকডাউনে থাকা পরিবারের কাছে বৃহস্পতিবার গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রওনক জাহান নিজেই খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আসেন।

বগুড়ার গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যলয় ও থানা পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, ১ এপ্রিল বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৩ বছরের ওই শিশুকে একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় করোনা আইসোলেশন কেন্দ্র্র মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে সন্ধ্যা ৭টায় মারা যায়। শিশুটির পায়ে ইনফেকশন ছিল। এই ইনফেকশনের চিকিৎসা নিত গ্রাম্য কবিরাজের কাছে। কবিরাজ চিকিৎসার নাম করে মাথায় প্রচুর পানি ঢালতো।

ধারণা করা হচ্ছে সেখান থেকে শিশুটির নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। পরিবারের লোকজন স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার দেখানোর পর বেশি অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় সে মারা যায়। পরে শিশুটির জানাযা শেষে দাফন করা হয় রাতেই। দাফন কাজের সময় গাবতলী থানার বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র্রের ইনচার্জ মুসা মিয়া, এসআই আরিফুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন স্বজন উপস্থিত ছিলেন। খুবই কম সংখ্যক মানুষই দাফন কাজে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক পড়তে দেখা যায়। 

বগুড়ার গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রওনক জাহান জানান, মৃতের বাড়িসহ আশেপাশের তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তার দাফনটি স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে। ওই তিনটি পরিবারের সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। তার নমুনা পরীক্ষার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন গাওসুল আযিম চৌধুরী জানান, মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে, যে শিশুটি মারা গেছে তার পায়ে ইনফেকশন ছিলো। গ্রাম্য কবিরাজ ও ডাক্তার দেখিয়েছে। যখন শিশুটি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে তখন হাসপাতালে নেওয়া হয়। আমাদের চিকিৎসকগণ যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। সন্ধ্যায় মারা যাওয়ার পরপরই তার নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার রাজশাহী প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্টটি হাতে এলে করোনাভাইরাসের বিষয়ে বলা যাবে। তবে তিনি বলেন, শিশুটি করোনায় আক্রান্ত ছিলো না। সে নিউমোনিয়ায় মারা গেছে বলে ধারণা করছেন। 

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর