বগুড়া করোনাআইসোলেশন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামের এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই তার বাড়িসহ তিনটি বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ঢাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তিনি গত ২৪ মার্চ জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে শিয়ালী গ্রামের বাড়িতে আসেন। এরপর তিনি আরও অসুস্থ হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে ২৯ মার্চ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু করোনা সন্দেহ হলে ডাক্তাররা তাকে করোনা আইসোলেশন কেন্দ্র মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে ভর্তির জন্য রেফার্ড করেন। করোনা উপসর্গ থাকায় বুধবার তার নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার রাজশাহী ল্যাবে পাঠানো হয়। কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়।এ ব্যাপারে ইউএনও রাজিয়া সুলতানা বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়েছে। এসব পরিবারে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
বগুড়া করোনা আইসোলেশন কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার শফিক আমিন কাজল জানান, অসুস্থ ব্যক্তির বাড়িসহ তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম