রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নে করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবক হারুনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অভিযুক্ত হারুন-অর-রশিদ রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের কুমরীরাণী গ্রামের মো. রুস্তুম আলী মন্ডলের ছেলে এবং সাওয়ারাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার ঠান্ডুর মোটরসাইকেল চালক।
সরকারি চাউল দেবার সহায়তার আশ্বাসে গত ৩১ মার্চ (মঙ্গলবার) 'Noton Rajbari' নামে একটি ফেসবুক আইডিতে ওই ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে হারুন সরকারি চাউল দেবার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ৮০-১০০ টাকা করে নিয়েছেন বলে শোনা যায়। ভিডিওটি অল্প সময়ে ভাইরাল হয়ে যায়। ইতিমধ্যে ৩ লাখ ৯৮ হাজার বার ভিডিওটি দেখা হয়েছে। এছাড়াও ভিডিওটি শেয়ার করে অনেকেকে নানা সমালোচনা করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হারুন-অর-রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার কাছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার ঠান্ডু হতদরিদ্রের মধ্যে চাউল দেবার একটি তালিকা করার নির্দেশ প্রদান করেন। সেই তালিকা অনুযায়ী তিনি হতদারিদ্রের নাম সংগ্রহ করেন। তিনি কোন টাকা-পয়সা দাবি করেননি। স্থানীয় রাজনীতির অন্য একটি পক্ষ ঠান্ডু মন্ডলকে বিতর্কিত করার জন্য তাকে নিয়ে এই মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার জন্য ভিডিও করে ফেসবুকে পোস্ট করেছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার ঠান্ডু বলেন, তিনি স্থানীয় কোন মেম্বার বা চেয়ারম্যান না। বিষয়টি নিয়ে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের ডেকেছিলেন সেখান থেকে সরকারি চাউল আত্মসাতের কোন সম্পৃক্ততা পাননি। যেহেতু ফেসবুক থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে তাই অপপ্রচারকারী যেন আইনের আওতায় আসে সে ব্যাপারে কালুখালী থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কালুখালী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নূরুল আলম বলেন, সরকারি কোনো চাউল বিতরণের দায়িত্ব তাদের উপর নেই। কালুখালীতে সরকারি চাউল আত্মসাতের কোন অভিযোগ আমরা পাইনি।
শুক্রবার কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে সাওরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলী এবং গোলাম সারোয়ার ঠান্ডু দুইজন দুইটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। কালুখালীর পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে কাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল