বরিশালে করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার সকালে সুন্দরবনের আত্মসমর্পণকৃত ২৮৪ জন জলদস্যু, লাহারহাটের ভাসমান বেদেসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১১ জেলার ৬৮৪ হতদরিদ্র পরিবারের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয় র্যাব-৮।
বরিশালে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে র্যাব-৮’র উপ-অধিনায়ক মেজর মো. জাহাঙ্গীর এবং র্যাব-৮ কর্মকর্তা মেজর মো. খালেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বর এবং বৌসেরহাট বাজারে ২ শতাধিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন সুন্দরবন নেভিগেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বরিশাল চেম্বারের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু। নগরীসহ সদর উপজেলায় ১ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করছেন রিন্টু।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নগরীর কাউনিয়ায় বিভিন্ন বস্তির সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন জেলা (দক্ষিণ) যুবদল নেতারা। এ সময় জেলা যুবদল সভাপতি পারভেজ আকন বিপ্লব ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আহমেদ বাবলুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি উদ্যোগেও বিভিন্ন উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি উদ্যোগেও নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।
এছাড়া বরিশাল নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ গত ৩ দিন ধরে ২ শতাধিক ছিন্নমূল জনগণকে দুপুরে এবং গত ২৩ মার্চ থেকে প্রতিদিন নদী বন্দরের ছিন্নমূলদের রান্না করা খাবার বিতরণ করছে প্রেসক্লাব। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে খাবার বিতরন করেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের উদ্যোগেও নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া সদর আসনের এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের উদ্যোগে নগরীতে ৫ হাজার এবং সদর উপজেলায় ৫ হাজার কর্মহীন মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. শফিকুল ইসলাম পিন্টু।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম