করোনাভাইরাসে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এজন্য সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে থাকা নিশ্চিত করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্থানীয় প্রশাসন তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। বিনা কারণে ঘোরাঘুরি করলেই শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে।
অপরদিকে, মানুষকে সচেতন করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক তৎপর রয়েছেন। তারপরও কিছু কিছু মানুষ এখনো নিয়ম ভঙ্গ করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন। ফলে সংক্রামক রোধে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যেখানে সমাগম সেখানেই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ অভিযান চালাচ্ছেন।
এছাড়াও পুলিশবাহিনীর সদস্যরা রাতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়ায় অহেতুক মানুষ চলাফেরা করার সময় তাদের আটক করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। দিনের বেলায় নানা অজুহাতে কিছু মানুষ রাস্তায় চলাফেরা করতে পারলেও সন্ধ্যার পর থেকে আরও কঠোর নজরদারি শুরু করা হচ্ছে।মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা টহল বসিয়ে ছোট ছোট যান চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে।
সকাল থেকেই শহরের বড়ইন্দারা মোড়ে ওষুধের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে মানুষজনকে ওষুধ ক্রয় করতে দেখা গেছে।
তবে ওষুধের দোকানের মালিকরা জানান, তারা ক্রেতাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ওষুধ ক্রয় করার পরামর্শ দিলেও ক্রেতারা নির্দেশনা মানার ক্ষেত্রে অনিহা দেখাচ্ছেন। অপরদিকে সমাগম এড়াতে ও সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত নিত্যপণ্যের দোকানসহ কাঁচাবাজার ও সারের দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়াউর রহমান জানান, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজন ছাড়া চলাচল করতে নিষেধ করা হচ্ছে। মানুষ ঘরমুখো না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক বলেন, প্রশাসনের প্রতিটি কর্মকর্তাসহ সদস্যরা কঠোর অবস্থানে থেকে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। এখনো যারা বাহিরে অযাচিতভাবে চলাফেরা করছেন, তাদের প্রতি কোন শিথিলতা দেখানো হচ্ছে না।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন