লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী আহিমা বেগমকে (২২) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাত উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পারুলিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়ার ইঞ্জিন পাড়া গ্রামের আমির হোসেনের মেয়ে আহিমা বেগমের (২২) এক বছর আগে বিয়ে হয় একই জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে সাদিকুল ইসলাম সাথে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। স্ত্রীকে কারণে-অকারণে শারীরিক নির্যাতনও করতো। গত কয়েকদিন আগে এক সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসেন সাদিকুল ইসলাম। এ পর স্ত্রীর উপর আবারও নির্যাতন আরো বেড়ে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী। এ ঘটনায় স্থানীয়রা হাতীবান্ধা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। নিহত আহিমা বেগমের পিতা আমীর হোসেন (৪৫) রাতেই বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নজির হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিন কে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার মরদেহ মর্গে পাঠান হয়েছে। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন