৯ এপ্রিল, ২০২০ ০৬:৪৩

ফোন দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে খাবার

নরসিংদী প্রতিনিধি

ফোন দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে খাবার

তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। স্ত্রী-সন্তানসহ ৪ সদস্যের পরিবার তার। বড় ছেলে এখনও কর্মহীন। অঘোষিত লকডাউনের ফলে বন্ধ প্রাইভেট টিউশনসহ কর্মময় জীবন। সামাজিক মর্যাদা, লোক লজ্জা ও আত্মসসম্মানের ভয়ে কারও কাছে হাতপাততেও পাড়ছেন না। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

অবশেষে নিরুপায় হয়ে বুধবার রাত ১০টায় নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামানের হটলাইন নাম্বারে ফোন দিয়ে বাসার খাবার ফুরিয়ে যাবার বিষয়টি অবহিত করেন। ফোন পাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয় দুই শিক্ষকের বাড়ি। একই সঙ্গে লকডাউনের সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাচ্ছন্দে চলার জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। 
দুর্যোগপূর্ণ সময়ে দ্রুত খাবার পাওয়ায় খুশি ওই পরিবার। খাবার পেয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ধন্যবাদ জানিয়েছেন নরসিংদী জেলা পুলিশকে। 
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে আমরা প্রতিদিনই কোনও না কোনও এলাকার অসহায় মানুষদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। করোনাভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবেলায় এলাকাভিত্তিক নিম্নআয়ের মানুষদের কাছে আমার মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। যারা লোকলজ্জার ভয়ে জনসম্মুখে সহায়তা নিতে পারছেন না, আমরা গোপনে তাদের বাসায় খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। তাছাড়া পৌর শহর ও আশপাশ এলাকার যেসব মানুষ আমাদের হটলাইন নম্বরে ফোন দিচ্ছেন, তাৎক্ষণিক আমরা তাদের বাসায় খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। তাছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের বাসায় বাসায় গিয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন,করোনা মোকাবেলায় এখন আমাদের প্রধান কাজ হল মানুষকে ঘরের মধ্যে রাখা। সেই লক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে দিনভর টহল বাড়ানোর পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর