চাঁদপুরের পুরানবাজারে মাদক বিক্রি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শামিম গাজী (২৪) নামের পথচারী আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। গত ২৯ জুন রাতে পুরানবাজারে সংঘর্ষের সময় বাসায় ফেরার পথে শামিম গাজী আহত হয়। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। নিহত শামিম পুরানবাজার মধ্য শ্রীরামদি এলাকার তাজু সর্দারের ছেলে। শামিম গাজী একটি হোটেলে রিসিপশনে চাকরি করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাদক বিক্রি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৭জুন পুরানবাজার ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরের সাথে স্থানীয় মাদক কারবারি হেলালের ঝগড়া হয়। পরে হেলালের পক্ষে ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত পাটওয়ারীর ছোট ভাই রাসেল এবং জহির গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে জহির গ্রুপের সবুজ খানকে কুপিয়ে আহত করে। মূলত ওই ঘটনার রেশ ধরেই সোমবার সন্ধ্যায় দু’গ্রুপে দফায় দফায় মারামারি হয়।
খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা ও পুরানবাজার ফাঁড়ির পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়। এসময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়। এই ঘটনায় দু’গ্রুপের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে।
নিহত শামিমের পিতা তাজুল সর্দার জানান, আমার ছেলে হোটেলে রিসিপশনে চাকরি করতো। প্রতিদিন সকালে কাজে যায়, আবার রাতে বাসায় ফেরে। রাতে সংঘর্ষের সময় কোনো একটি পক্ষ শামীমকে অন্ধকারে চিনতে না পেরে হামলা চালায়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলে দু’বছর হলো বিয়ে করেছে। তার ৯মাসের শিশু পুত্র রয়েছে। ওরা মারামারি করে আমার নিরীহ ছেলেটাকে মেরে ফেলেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহেদ পারভেজ চৌধুরী জানান, ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল