বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদী থেকে ১৬ জন জেলেসহ ইলিশ বোঝাই একটি ফিশিং ট্রলার আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে এফবি মায়ের দোয়া- ১ নামের ওই ফিশিং ট্রলারটি আটক করে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ শিকার করে ট্রলারটি বাগেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
আজ বুধবার দুপুরে আটক ওই ট্রলারে থাকা পাঁচ মণ ইলিশ ও ১৫ মণ অন্যান মাছ শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ১ লাখ ৫২ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি এবং ট্রলার মালিক বরগুনার মৎস্য ব্যবসায়ী ফোরকান হাওলাদারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য ২০ মে থেকে সাগরে ৬৫দিনের অবরোধ চলছে। কিন্তু সরকারি এই আইন অমান্য করে বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ আহরণের পর বরগুনার ওই মৎস্য ব্যবসায়ীর ট্রলারটি গভীর রাতে বলেশ্বর নদী দিয়ে বাগেরহাটের মোকামে যাচ্ছিল। এমন সময় ইলিশ বোঝাই ওই ট্রলারটি আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরে ওই ট্রলারে থাকা ইলিশসহ অন্যান্য ২০মন মাছ ১৯৮৩ সালের সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ আইনে নিলামে বিক্রি এবং অবৈধভাবে মৎস্য আহরণের দায়ে ট্রলার মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় জানান, নিলামে মাছ বিক্রি ও জরিমানার টাকা রাষ্টীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। ৬৫ দিনের অবরোধ সফল করতে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর