শিরোনাম
২ জুলাই, ২০২০ ১০:০৫

'বিসিএস ক্যাডার কি জিনিস বুঝি না, ছেলের জন্য দোয়া চাই'

অনলাইন ডেস্ক

'বিসিএস ক্যাডার কি জিনিস বুঝি না, ছেলের জন্য দোয়া চাই'

লালটু সরকার ৩৮তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডারে সারাদেশের মধ্যে তার সাবজেক্টে তৃতীয় হয়েছেন। মঙ্গলবার ৩৮তম বিসিএসের ফল প্রকাশ হয়েছে। তার সাফল্যের পেছনের কাহিনী এখন অনুপ্রাণিত করছে সবাইকে। এসএসসি পরীক্ষার এক বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর ভারাক্রান্ত মন নিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন ছেলে লালটু সরকার। সেলাই মেশিন চালিয়ে ছেলেকে লেখাপড়ার খরচ দিয়েছেন মা। পাশাপাশি টিউশনি করেছেন লালটু। লালটু সরকার সাতক্ষীরার তালা সদরের মাঝিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা।

লালটুর মা বলেন, ২০০৬ সালে ওর বাবা মারা যাওয়ার পর খুব অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। দিন চলতো না ঠিকমতো। খেয়ে না খেয়ে থেকেছি। সেলাই মেশিনের হাতের কাজ করে উপার্জনের টাকা দিয়ে সংসার চলতো। খুব বেশি খরচ ছেলেকে কোনোদিন দিতে পারিনি। তবে চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো। ছেলে বিসিএস ক্যাডার হয়েছে। তবে এটি কি জিনিস আমি বুঝি না। তবে ছেলে বলেছে ভালো চাকরি পেয়েছে। খুব খুশি হয়েছি। ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

লালটু সরকার বলেন, স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমি খুব খুশি। এখন সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার ওপর আসা রাষ্ট্রের সরকারি দায়িত্ব পালন করতে চাই। সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। 

স্থানীয় বাসিন্দা তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, মা খুব কষ্ট করে ছেলেটিকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। লালটু নিজেও অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে আজ বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন। এলাকার সুনাম বয়ে এনেছেন। তার এমন ফলাফলে এলাকার মানুষ আনন্দিত।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

সর্বশেষ খবর