ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি থেকে অপহরনের ২দিন পর সাদিয়া সুলতানা নামে নবম শ্রেনীর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (৪ জুলাই) রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের রামপুর থেকে সাদিয়াকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অপহৃত সাদিয়ার মা ৩ জনকে আসামি করে কসবা থানায় অপহরন মামলা করলে জড়িত থাকার অভিযোগে সাদিয়ার চাচি ও এক মামাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুলাই সকালে উপজেলার কুটি থেকে অপহৃত হয় কুটি আজগর আলী দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী সাদিয়া সুলতানা। সাদিয়াকে তার চাচি রাবিয়া বেগম ফুসলিয়ে ঘর বের করে এনে তুলে দেয় উপজেলার চন্ডিদ্বার গ্রামের সুজন মিয়া ওরফে লুটনের কাছে। সুজন মিয়া মেয়েটিকে জোরপূর্বক চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে সাদিয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে।
গতকাল শনিবার (৪ জুলাই) তাকে নিয়ে আসে উপজেলার রামপুর গ্রামের রবিউলের বাড়িতে। সেখান থেকে কৌশলে সাদিয়া মুঠোফোনে তার মা বাবাকে জানায় তাকে অপহরণ করা হয়েছে বর্তমানে সে রামপুরে আছে। অপহরণ ঘটনার সাথে তার চাচি রাবিয়া বেগম ও মামা রবিউল জড়িত বলে জানায় সাদিয়া।
পরে সাদিয়ার মা সামছুন্নাহার বেগম গতকাল শনিবার থানায় অপরহরন মামলা করলে পুলিশ ৩নং আসামি রামপুর গ্রামের মো.রবিউলের বাড়ি থেকে অপহৃত সাদিয়াকে উদ্ধার করে। এসময় সাদিয়ার চাচি ও মামাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কুটি থেকে অপহৃত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর