১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৯:৫৪

৫ দিন পর ভারত থেকে পিয়াজ এলো হিলিতে, কমলো দাম

দিনাজপুর প্রতিনিধি

৫ দিন পর ভারত থেকে পিয়াজ এলো হিলিতে, কমলো দাম

ফাইল ছবি

প্রত্যাশিত ভারতীয় পিয়াজ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পিয়াজ বোঝাই ট্রাক দেশে আসতে শুরু করে। বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ১১ ট্রাক পিয়াজ প্রবেশ করেছে। 

এতে কমপক্ষে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে জানান হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন। ভারতীয় সরকারের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনো পিয়াজ আসবে না বলেও জানান তিনি।

গত সোমবার অভ্যন্তরীণ বাজারে পিয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ভারত সরকার পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়।

ভারত পিয়াজ রফতানি বন্ধ করলেও এ সিদ্ধান্তের পূর্বেই বাংলাদেশের স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়া শত শত ট্রাকভর্তি পিয়াজ ছাড় করার অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। পাঁচ দিন বন্ধের পর পূর্বের টেন্ডারকৃত ওইসব পিয়াজ ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পিয়াজগুলো দ্রুত খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যায়।

এদিকে, পিয়াজ আসার খবরেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের খুচরা ও পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে আমদানিকৃত পিয়াজের দাম। শনিবার প্রকারভেদে প্রতিকেজি পিয়াজ ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, অভ্যন্তরীণ বাজারে পিয়াজের সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত সোমবার থেকে ভারত সরকার পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে এলসি করা ২৫০ ট্রাক পিয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের অভ্যন্তরের বিভিন্ন সড়কে কয়েকদিন ধরে আটকে ছিল। একইসঙ্গে ১০ হাজার মেট্রিক টন পিয়াজ আমদানির জন্য এলসি দেওয়া ছিল। এ গুলোর কার্যক্রমও বন্ধ রেখেছিল তারা।

তিনি আরো জানান, গত মঙ্গলবার ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর এর পূর্বে এলসির বিপরীতে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পিয়াজ রফতানির অনুমতি দিতে পারে ভারত সরকার। সে অনুযায়ী গত বুধবার বাংলাদেশে পিয়াজ প্রবেশের কথা ছিল। কিন্তু অনুমতি না মেলার ফলে এবং গত পাঁচ দিন রফতানি বন্ধ থাকায় ৯ থেকে ১০ দিন পূর্বে ট্রাকে লোড করা পিয়াজগুলো ত্রিপল দিয়ে বাঁধা থাকায় অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টিতে অনেক ট্রাকের পিয়াজ পচন ধরতে শুরু করেছে। এতে করে আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এই পিয়াজ আসা ১১ ট্রাকের মালামালে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ক্ষতি হবে আমদানিকারদের। ভারত সরকারের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আর পিয়াজের ট্রাক আসবে না বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় সরবরাহে ঘাটতি এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পিয়াজ রফতানি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সোমবার থেকে বন্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ভারত সরকার। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর