২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৮:১৯
মাদকের ভয়াল থাবা

শার্শা-বেনাপোল সীমান্তে ২৬ দিনে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ আটক ৪০

বেনাপোল প্রতিনিধি

শার্শা-বেনাপোল সীমান্তে ২৬ দিনে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ আটক ৪০

মাদক সহ সব ধরনের চোরাচালানের জন্য যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত দেশি কিংবা আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিদের কাছে আলাদা কদর রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এই সীমান্তকে চোরাকারবারিরা  নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করে আসছে।

ক্রমেই মাদকের ভয়াল থাবা গ্রাস করে চলেছে শার্শা-বেনাপোলকে। দিন দিন মাদকের প্রকোপ বেড়েই চলেছে এ সীমান্ত এলাকায়। বিজিবি ও পুলিশের কড়া নজরদারির পরও নিত্য নতুন কৌশলে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর মাদকের গডফাদাররা তাদের ব্যবসার কৌশল হিসাবে নারী-পুরুষ ও শিশুদের ব্যবহার করছে অহরহ।

অনেক মাদক ব্যবসায়ী আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হলে, পরে তারা বহনকারী হয়ে যায়। ফলে সহজে জেল হাজত বেরিয়ে আসে। আবার শুরু করে সেই পুরনো পেশা। আর মাদকের গডফাদাররা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে সব সময়। পুলিশ, বিজিবি’র অব্যাহত অভিযানের ফলেও থামানো যাচ্ছে না মাদক চোরাকারবারিদের।

বিজিবি ও পুলিশের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত ২৬ দিনে শার্শা-বেনাপোল সীমান্তে বিভিন্ন ধরনের  মাদকসহ ৪০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশন বেনাপোল পৌর শাখার সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, বেনাপোল ও শার্শা সীমান্ত চোরাকারবারিদের কাছে চোরাচালানের জন্য নিরাপদ রুট হিসাবে দীর্ঘ দিন ব্যবহার হয়ে আসছে। বিজিবি ও পুলিশের একার পক্ষে মাদক পাচার বন্ধ করা সম্ভব হবে না। সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। মাদকের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খাঁন জানান, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হচ্ছে। মাদক চোরাকারবারিদের কোনো ছাড় নেই। যেখানে মাদক সেখানে পুলিশ এ শ্লোগান নিয়ে সীমান্ত জুড়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। সীমান্তে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর