বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, যারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়, তারা ধর্ষককে বাঁচাতে চায়। বিএনপি ধর্ষণের পর উল্লাস করে। বিএনপির সময় পূর্ণিমা ধর্ষণ হয়েছে। আওয়ামী লীগ ধর্ষকদের বিচার করে ও করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘাণি টানা পরিবারকে গরু দিয়ে দুর্দশা দূর করেছে, পাবনার জোড়ামাথা শিশুর অপারেশন করে নতুন জীবনে ফিরে দিয়েছেন, ঢাকার নিমতলীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া অসহায় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সর্ব্বোচ শাস্তির বিধানও আসছে। আওয়ামী লীগ শুধু ধর্ষণ না যে কোন নারী নির্যাতনের বিষয়ে সবসময় সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করেছেন। করোনা ভাইরাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বসে থাকনেনি। যতটা সম্ভব দেশের জনগণের জন্য লড়াই করেছেন আর সারা রাত নামাজ আদায় করে দেশ ও জাতিরজন্য কল্যাণ কামনা করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে লড়াই করে। আর বিএনপি দেশকে পিছিয়ে দিতে রাজনীতি করে।
তিনি সোমবার বিকেলে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিশেষ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, ১৯৭৫ সালে একটি কু-চক্রী মহল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার স্ব-পরিবারকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ কে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। সে সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশের বাহিরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। বর্তমান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অন্ধকার থেকে আলোর পথে ধাবিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে তিনি দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার দূরদর্শীতার কারণে ১৯৭১ স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে জাতিকে কিছুটা হলেও কলংকমুক্ত করেছেন এবং বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে চায়।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু রেজা খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম খান রাজুর সঞ্চালনায় বিশেষ কর্মী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল হাসান রিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. তৈয়বর রহমান তবি, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক ফজলু, আশরাফুল ইসলাম মন্টু, সাজেদুল ইসলাম চম্পা, জার্জিস আলম রতন, নিসরুল হামিদ ফুতু, এস.এম বেলাল হোসেন, জিল্লুর রহমান, এরশাদুল হক টুলু, আব্দুল হক আবু, মিজানুর রহমান বাবু, রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন