বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ইন্টার্ন চিকিৎসকদের টানা তৃতীয় দিনের কর্মবিরতিতে রোগীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। এতে ক্ষুব্ধ রোগীরা। সিনিয়র চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এদিকে রোগীদের জিম্মি করে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি যৌক্তিক নয় বলেছেন হাসপাতালের পরিচালক।
তিন দফা দাবিতে গত শনিবার দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এর পর থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসায় মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হয়। গত ২ থেকে ৩ দিনেও ডাক্তারের দেখা পাননি অনেক রোগী। মুমূর্ষ রোগীর জন্যও ডাক্তার ডেকে পাওয়া যায় না। পূর্ব নির্ধারিত অপারেশনও হচ্ছে না। এ কারণে রোগী মৃত্যুর হারও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে মারা গেছে মুমূর্ষ ১৭ জন রোগী। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১৯ জন রোগীর। যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ রোগী ও তাদের স্বজনরা।
হাসপাতালের গাইনী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. খুরশীদ জাহান বলেন, রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে মিডলেভেল ডাক্তারদের উপর চাপ বেড়েছে।
হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, রোগীদের জিম্মি করে ইন্টার্নদের কর্মবিরতী যৌক্তিক নয়। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
আজ এই হাসাপাতালে রোগী ভর্তি ছিলো ১ হাজার ৪শ’ ২৯জন। ১ হাজার শয্যা হাসপাতালের জনবল কাঠামোতে ডাক্তার থাকার কথা ছিলো প্রায় ৫০০জন। কিন্তু এখানে কর্মরত আছেন মাত্র ৯০ জন চিকিৎসক। হাসপাতালে ১৯০জন ইন্টার্ন চিকিৎসক মূলত চিকিৎসার প্রাথমিক পর্ব সম্পন্ন করতেন। গত ৩দিন ধরে তারা না থাকায় হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন