ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চারটি সেতুর একটিও জনসাধারণের যাতায়াতে কোনো কাজেই আসছে না। পায়ে হেঁটে চলাচলের এই রাস্তাটিতে ১৫ বছর ধরে সেতুগুলো ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে।
ফলে সেতু দিয়ে মানুষ কোনো রকমে পার হলেও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। মাঝে মধ্যে সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করতে হয়। আর বর্ষা মৌসুম একেবারেই চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে জনসাধারণ বিকল্প সড়ক পথ ব্যবহার করছেন।
জানা যায়, উপজেলার ৮ নম্বর নড়াইল ইউনিয়নের পূর্ব নড়াইল থেকে কাওয়ালীজান রাস্তার শিবধরা বিল ও ধলিকুড়ি বিলের মাঝে দেড় কিলোমিটার রাস্তা। বিগত ২০০৫ সালের মার্চ মাসে ওয়ার্ল্ড ভিশনের সহায়তায় ও ইউএসআইডি’র অর্থায়নে এই রাস্তায় চারটি সেতু নির্মাণ করা হয়, যা পাশেই যুক্ত করেছে ওই ইউনিয়নকে।
এলাকাটি বন্যাপ্রবণ ও নিম্নাঞ্চল হওয়ায় প্রতি বৎসর বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। বন্যার পানি নেমে গেলেও ক্রমেই সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে রাস্তাটি। দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় রাস্তায় গজিয়ে উঠছে বড় বড় কাশবন। স্থানীয় বা সরকারিভাবে কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় কাটছে না সড়কটির বেহাল দশা। নির্মাণের পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে কোনো মাটি ফেলা হয়নি বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।
রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে কাওয়ালীজান গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা হযরত আলী আক্ষেপ করে বলেন, কোটি টাকা খরচ করে চারটি সেতু নির্মাণ করা হলেও ১৫ বছর ধরে এখানে মাটি ভরাট না করায় এলাকাবাসীর কোনো উপকারেই আসছে না রাস্তাটি। যোগাযোগের এই রাস্তাটি সংস্কার হলে সেতুগুলো ব্যবহার করে প্রায় ৭ গ্রামের মানুষ উপজেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে।
একই গ্রামের বাসিন্দা হানিফ বলেন, দীর্ঘদিন আগে সেতুগুলো নির্মিত হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী সেতু পেয়েছি। কিন্তু মানসম্মত রাস্তা পাইনি। ফলে সেতুগুলো আমাদের কোনো কাজে আসছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত রাস্তা মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করলে আমরা এর সুবিধা পাব।
রাস্তাটির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে আমাদের একটি প্রকল্প ফেরত গেছে। পরবর্তী বরাদ্দে এখানে মাটি কেটে ভরাট করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কর্মকর্তা মো. আলাল উদ্দিন বলেন, আমি এ বছরের মার্চ মাসে যোগদান করেছি। বিষয়টি সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই।
বিডি প্রতিদিন/এমআই