ফরিদপুরে দুদকের দায়ের করা মামলায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মজিবর রহমান এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার নাম মো. শরিফ আহমেদ দেওয়ান (৫৬)। তিনি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চর আখড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মো. শরিফ আহমেদ দেওয়ান শরীতপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, শরিফ আহমেদ দেওয়ান ১৯৯৬-৯৭ সালে ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় উক্ত কার্যালয়ের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, পরিবার পরিকল্পনা সহকারী ও আয়াসহ ৩৩ জন কর্মচারীর দুই লাখ চার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। উপজেলা হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ের অডিটর শাহজাহান ও উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বাড়ই-এর যোগসাজসে ওই টাকা উত্তোলন করেন তিনি।
জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা মঞ্জুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে ২০০০ সালের ২১ মার্চ এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্তকালীন অবস্থায় উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বাড়ই মারা যান। পরবর্তী সময়ে সমন্বিত দুর্নীতি দমন কার্যালয় ফরিদপুরের উপ সহকারী পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম তদন্ত করে গত ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার মো. শরিফ আহমেদ দেওয়ান ও হিসাব বিভাগের অডিটর শাহজাহানের নামে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পর্বে ২০১৯ সালের ৯ মে অডিটর শাহজাহান মারা যান।
জেলা বিশেষ জজ আদালতের পিপি মজিবর রহমান জানান, রায়ে শরীতপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক শরিফ আহমেদ দেওয়ানকে বিভিন্ন ধারায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই