দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির পাশাপাশি বেড়েছে সরকারের রাজস্ব আয়। গত কয়েক বছর কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় করতে না পারলেও বর্তমানে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। তবে বাড়েনি সেবার মান, প্রতিনিয়তই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ইচ্ছা থাকলেও সময় মত চাহিদাযুক্ত পণ্য আমদানি করতে পারছে না।
চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর প্রথম ৬ মাসের লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেয় ১৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। যার বিপরীতে কাস্টমস আদায় করতে সক্ষম হয় ১৫২ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, এই স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মাঝে বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এর মধ্যে বেশির ভাগ পাথর, খৈল, ভুট্টা, রাইজ ব্রান্ড, বাদাম, পিয়াজ ও জিরাসহ নানা পণ্য আমদানি হয়। যা থেকে হিলি কাস্টমস রাজস্ব আদায় করে থাকে।
কয়েক আমদানিকারক জানান, হিলি স্থলবন্দর থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় করলেও স্থলবন্দর এলাকার রাস্তাঘাট ও বন্দরের অভ্যন্তরে প্রশস্তকরণ না করায় বেশি বেশি আমদানি করতে পারছি না। সরকারের কাছে দাবি, হিলি স্থলবন্দর এলাকার রাস্তাঘাট সম্প্রসারণসহ অন্যান্য সমস্যাগুলোর সমাধান করে দিলে আমদানিও যেমন বাড়বে তেমনি রাজস্ব বাড়বে।
হিলি কাস্টমসের উপ-কমিশনার সহিদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, করোনা মহামারীর মধ্যেও হিলি কাস্টমস বরাবর কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেধে দেওয়া রাজস্বের থেকে বেশি আদায় করে যাচ্ছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চলতি অর্থ বছরের গত ৬ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছি আমরা। সবকিছু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার কারণে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বন্দরের রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ ও যানজট নিরসন করা গেলে আমদানি যেমন বাড়বে, তেমনি বাড়বে সরকারের রাজস্ব।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন