ইয়াবা ও আইসের ভয়াবহ ঢল ঠেকাতে ২৮ ধরনের ব্যর্থতা ও দুর্বলতা চিহ্নিত করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সীমান্তপথ, ভূপ্রকৃতি, দুর্নীতিগ্রস্ত নিরাপত্তা সদস্য ও রোহিঙ্গা শিবিরে গড়ে ওঠা মাদক গুদাম এসব ব্যর্থতার শীর্ষে রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের উপপরিচালক হুমায়ুন কবির খোন্দকার জানান, অনুসন্ধানে দেখা গেছে- মিয়ানমারের সান স্টেট থেকে আসা ইয়াবা ও আইস প্রধানত কক্সবাজার ও বান্দরবানের ২৭টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। কিছু চালান বঙ্গোপসাগর হয়ে আসে। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক ইউনিট সক্রিয় রয়েছে। দেখা যায়, ভূপ্রকৃতি যেমন পাহাড়, নদী, সাগর ও সমতল মাদক চোরাচালানে সহায়ক হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য জড়িত, এমনকি সোর্সদের মাধ্যমেও পাচার হচ্ছে ইয়াবা। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গড়ে উঠেছে ৩৪টি ওয়্যারহাউস, রোহিঙ্গারা সরাসরি মাদক কারবারে যুক্ত। রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে মিয়ানমার মাদককে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও ধারণা পাওয়া গেছে।
দুর্বলতার মধ্যে রয়েছে- জনবল সংকট, সমুদ্রপথে পর্যাপ্ত তল্লাশি না থাকা, নারী সদস্যের অভাবে নারী পাচারকারীদের সঠিকভাবে তল্লাশি করতে না পারা এবং জামিনে ছাড়া পেয়ে ব্যবসায়ীদের আবার মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়া।
অধিদপ্তর ২৯টি সুপারিশ দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হচ্ছে, পরিচিত মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত, সরকারি সব ধরনের সুবিধা বাতিল, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তল্লাশি জোরদার, মাদক গডফাদারদের ঘন ঘন নজরদারিতে আনা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা।