মেহেরপুরের গাংনী পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আহম্মেদ আলীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলামসহ ৬ জন আহত হয়েছে। এসময় আওমী লীগ কর্মী ইসমাইল হোসেন আশরাফুলের পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে ২ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে পৌর সভার ২নং ওয়ার্ড শিশিরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ আলী এ ঘটনায় মেয়র আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার ও তার পিস্তল জব্দের দাবি জানান। হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আহম্মেদ আলীর পক্ষের নাজমুল হোসেন রাজু ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর রোকনুজ্জামানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, বেলা দুইটার দিকে তার কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে প্রথমে ৮নং ওয়ার্ডে যান। সেখানে তাকে বাধা দেন কিছু লোক। তারপর ৩নং ওয়ার্ডে প্রচারণা চালানোর সময় সাবেক ছাত্রলীগের নেতা ইসমাইল হোসেন, রেন্টু ও ইনামুল হকের নেতৃত্বে কিছু লোকজন আমার এবং আমার কর্মী সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে। এসময় আমি মাটিতে লুটিয়ে পরলে আহম্মেদ আলীর সমর্থক ইসমাইল আমার কোমরে থাকা লাইসেন্সকৃত পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে দুই রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে।
গাংনী বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আহম্মেদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, মেয়র আশরাফুল ইসলাম তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা করেছে। এসময় ছাত্রলীগ কর্মী রাজুসহ ৫/৬ কর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে রাজুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আশরাফুল তার পিস্তল দিয়ে ৩ রাউন্ড গুলি করেছে। এভাবে চললে নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক থাকবেনা। তিনি আশরাফুল ইসলামের পিস্তল জব্দ ও তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
এ ঘটনার পরপরই আহম্মেদ আলীর নেতৃত্বে গাংনী হাসপাতাল বাজার এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ