পেশায় দিনমজুর, থাকেন পরের বারান্দায় কিংবা অন্যের জমিতে। এমন দরিদ্র পরিবার এখন পেতে যাচ্ছেন পাকা ঘর ও জমি। ঘরে থাকছে বিদ্যুৎ সংযোগও। ভূমি ও গৃহহীন দরিদ্র পরিবারগুলো এ ঘর পেয়ে যেন তাদের আনন্দের শেষ নেই। তেমনি খুশির পাশাপাশি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে হত দরিদ্রদের এ ঘর বানিয়ে দেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যে উপকারভোগীদের প্রত্যেকের নামে দুই শতক ভূমিসহ ওইসব ঘরের দলিল ও নামপত্তন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আগামী শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের পর বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার ৪৩৫টি পরিবারের মাঝে স্থানীয়ভাবে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক জানান, যাচাই বাছাই করে ‘ক’ তালিকায় থাকা পরিবারের মধ্যে অধিক দরিদ্রদের দেয়া হচ্ছে ৪৩৫টি ঘর। পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে তালিকার অন্যান্যদের বলে জানিয়েছেন তিনি। এ সব পাকা ঘরের সামনে বারান্দা, দুইটি রুম, একটি রান্না ও বাথ রুম সম্বলিত ঘরসহ দুই শতক করে জমি দেয়া হবে প্রত্যেক পরিবারকে। সেই সাথে নতুন ঘরে থাকছে মিটারসহ বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থাও। সেখানকার বাসিন্দাদের সুপেয় পানির চাহিদা মিটাতে খনন করা হচ্ছে একটি মিষ্টি পানির পুকুরও। রয়েছে সংযোগ সড়ক। বন বিভাগের সহায়তায় ওই প্রকল্প এলাকা জুড়ে সবুজ বনায়নের আওতায় আনারও উদ্যোগ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। জেলাজুড়ে এ প্রকল্প এলাকা এখন যেন দৃষ্টি নন্দন স্বপ্নের নীড়। জমিসহ এসব ঘরের মালিক হতে যাচ্ছেন স্থানীয় ভিক্ষুক, সবজি বিক্রেতা ও প্রতিবন্ধী পরিবারগুলো।
জীবনের বেশির ভাগ সময় ধরে অন্যের জায়গায় বসবাসকারী এ সকল উপকারভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এ ঘর পেয়ে স্থায়ীভাবে মাথাগোজার ঠাঁই হয়েছে তাদের। তাই খুশি মনে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন তারা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন