শিরোনাম
২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:০১

লালমনিরহাটে তীব্র ঠাণ্ডায় দুর্ভোগে মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে তীব্র ঠাণ্ডায় দুর্ভোগে মানুষ

কনকনে ঠাণ্ডায় থমকে দাঁড়িয়েছে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার মানুষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম, ভোগান্তিতে আছে নিম্ন আয়ের মানুষ। এই ঠাণ্ডায় খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে না পেরে কষ্টে পরিবার নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। 

বুধবার সকালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ওসমান (৭১) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ জেলায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। সেই সাথে বেড়েছে ঠাণ্ডা।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রর ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা লালমনিরহাটে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড। রাত থেকে ঘন-কুয়াশা ঢাকা থাকছে এ অঞ্চল। গত কয়েক দিন থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের।

লালমনিরহাট সদরসহ ৫ উপজেলার মহেন্দ্রনগর, মোঘল হাট, দুরাকুটি, খুনিয়া গাছ, চলবালা, মইচ খোঁচা, ভোটমারী, হলদিবাড়ি, সিন্দুর্না, ধুবনী, গড্ডিমারী, সানিয়াজান, ঠাংঝাড়া, ধবলগুড়ি, দহগ্রাম এলাকায় দিনভর কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডা কারণে কাজে বের হতে পারেনি খেটে খাওয়া মানুষজন।

শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় মাঠের গরম কাপড়ের মার্কেটে ভিড় বেড়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষজন ধানের খড় সংগ্রহ করে রাতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের ব্যর্থ প্রয়াস চালাচ্ছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা শীতে কাবু হয়ে পড়ছে। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করলেও তা খুবই সীমিত।

হাতীবান্ধা উপজেলা আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাঈম ইসলাম জানান, হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশিসহ শীতজনিত রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। 

লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, হাসপাতালে ঠাণ্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। চিকিৎসা দিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য হাসপাতালে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, লালমনিরহাটের শীতার্তদের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রায় ৫০ হাজার কম্বল ও ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়ে ৫ উপজেলার জন্য শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ চলমান আছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর