আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কৃষক লীগের নেতা। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বুধবার বিকেলে রংপুর প্রেসক্লাবে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম (কাজী) এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে কুড়িগ্রামের চিলমারী ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গয়ছল হক মন্ডলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় শত্রুতার সূত্রপাত হয়। ওই নির্বাচনে গয়ছল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা নির্বাচনী বৈতরণী পার করে। চলতি বছর আসন্ন নির্বাচনে আনিমুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রচার-প্রচারণা চালালে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে গয়ছল। আমিনুল ইসলামকে নির্বাচন থেকে সরাতে কূটকৌশলের অংশ হিসেবে গয়ছলের সমর্থকরা ইউনিয়নের সার্ভার রুম ভাংচুর করে। এ ঘটনায় বাধা দিলে তার সমর্থক বাবলু ও সুরুজ্জামান গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থার অবনতি দেখে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকরা। ঘটনার পরদিন সোমবার চিলমারী থানায় আমিনুল ইসলাম কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় চেয়ারম্যান গয়ছলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গয়ছল সার্ভার রুম ভাংচুরের দায়ে আমিনুল ইসলাম ও তার ৪৮ কর্মী-সমর্থকসহ অজ্ঞাত দেড়শজনের নামে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে।
মো. আমিনুল ইসলামের দাবি, প্রাণ ভয়ে কুড়িগ্রাম থেকে রংপুরে এসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান গয়ছল হক মন্ডল বলেন, আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করায় আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি। থানা পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে। এখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কিছু নেই।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা