গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মাসুদ রানার বাড়ি থেকে শনিবার হাসান আলী (৪৫) নামে এক জুতা ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু রবিবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি।
রবিবার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মামলা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এদিকে, জেলা আওয়ামী লীগ এই ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-দফতর সম্পাদক মাসুদ রানাকে অব্যাহতি প্রদান করেছে। ঘটনায় ফুঁসে ওঠা গাইবান্ধাবাসী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে বিচার দাবি করেছেন।
নিহতের স্ত্রী বীথি বেগম এই ঘটনায় শনিবার রাতেই মাসুদ রানাসহ দুই ব্যবসায়ীকে আসামি করে থানায় এজাহার দেন। কিন্তু সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, নিহতের পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে দেখবার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। ঘটনায় যারাই জড়িত থাক না কেন, সবাই অবশ্যই শাস্তির আওতায় আসবেন।
এদিকে, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মাসুদ রানার বাসায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে স্বপদ থেকে মাসুদ রানাকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
অন্যদিকে হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে গাইবান্ধাবাসীর ব্যানারে রবিবার শহরের ডিবি রোডে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, গাইবান্ধা জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মিহির ঘোষ, জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মারুফ মনা প্রমুখ। বক্তারা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িত সকলের বিচার দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগে উপ-দফতর সম্পাদক মাসুদ রানার বাড়ি থেকে শনিবার দুপুরে পুলিশ হাসান আলী নামে এক জুতা ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। সুদে টাকা লেনদেনের কারণে তাকে বাড়িতে আটকে রেখে মাসুদ রানা হত্যা করেন বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই