নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মির্জা কাদেরের অনুসারী শাহাদাত সিফাতের ফেসবুক লাইভের জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত সাতজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার গেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-আরমান (৪৩), মির্জা কাদেরের ছেলে তাশিক মির্জা (২৯) ও মিরাজসহ (৩৩) সাতজন। তবে আহতদের মধ্যে আরমান ছাড়া বাকিদের আঘাত গুরুতর নয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুসারীরা ত্রাণ বিতরণ শেষে বসুরহাট বাজারে আসে। তখন মির্জা অনুসারী শাহদাত সিফাত বসুরহাট পৌরসভা ভবন থেকে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতাদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে তার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা বিকেল ৩টার দিকে বসুরহাট বাজারে থানার সামনে জড়ো হয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
খবর পেয়ে শাহদাত হোসেন ও তাশিক মির্জা পৌরসভা থেকে তাদের অনুসারীদের নিয়ে জিরো পয়েন্ট হয়ে থানার সামনে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই