১৯৯৮ সালে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাসহ চারটি হত্যা মামলার আসামি বহুল আলোচিত ও সমালোচিত কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক সরকার আব্বাসীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
হত্যা ও অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি হওয়ায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ সিদ্বান্ত নিয়েছে। মেঘনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রবীর কুমার রায় শনিবার (১৭ এপ্রিল) আব্বাসীর বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মো. আবুজাফর রিপন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আব্বাসীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মজিদ বলেন, গত ৩১ মার্চ বুধবার রাতে রাজধানীর পূর্ব রায়েরবাজার এলাকা থেকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল মো. ফারুক সরকার আব্বাসীকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার মধ্য দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন ফারুক সরকার। এরপর একসঙ্গে তিনজনকে হত্যাসহ চারটি হত্যার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া রয়েছে হত্যাচেষ্টা, হামলা, দখল, চাঁদাবাজির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সর্বশেষ আব্বাসী তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ওপর চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি মেঘনার ভাওরখোলা গ্রামে গিয়ে হামলা করেন। এতে মারা যান সিরাজের ভাই সালামের স্ত্রী নাজমা বেগম।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ