ফরিদপুরের বিভিন্ন বিপণি বিতান ও মার্কেটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার দ্বিতীয় দিনে ফরিদপুরের সব কয়টি মার্কেট ও বিপণি বিতানে ক্রেতাদের পদচারণা ছিল চোখে পড়ার মতো। মার্কেটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই ছিল না। ছিল না সামাজিক দূরত্ব মানার সামান্য লক্ষণটুকুও।
ফরিদপুরের নিউ মার্কেট, রায় প্লাজা, মসজিদ মার্কেট, চকবাজার কাপড়পট্রি, আয়েশা সুপার মার্কেট, মায়া সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেটের বর্ধিত অংশ, মোল্যা ম্যানসনসহ সব মার্কেটের দোকান গুলোতে ছিলনা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষণ। একেকটি দোকানে ১০/১৫ জন ক্রেতা গায়ে গা মিলিয়ে কেনাকাটা করছেন। ছোট্ট একটি দোকানেও ৮-১০টি বসার জন্য চেয়ার রাখা হয়েছে, যেখানে দু'টির বেশি রাখার কথা নয়। এছাড়া অনেক ব্যবসায়ীর মুখেও ছিল না কোন মাক্স। মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার কথা থাকলেও সেটির দেখা মেলেনি। ক্রেতাদের অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না। মার্কেটে আসা শিশুদের কারো মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। মার্কেট ছাড়া বিভিন্ন শপিং মল ও বিভিন্ন কোম্পানীর শো-রুম গুলোতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মানার কথা বলা হলেও সেটি একেবারেই দেখা যায়নি। মার্কেট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে বলে সচেতন মহলের দাবি।
এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে এবং জনগণকে সচেতন করতে সকাল থেকে বিভিন্ন মার্কেট পরিদর্শন করেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান। নিউ মার্কেটে গিয়ে তিনি মানুষের ভিড় দেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেনা কাটা করায় ক্রেতাদের সর্তক করেন। সামাজিক দুরত্ব মেনে কেনা কাটা করা এবং মাস্ক পড়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনুরোধ জানান।
পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান বলেন, মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ যদি সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে তাহলে তাদের জরিমানার আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ